ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের কলমে ,
সুদূর অতীতে ১৯৩০ সালে শিক্ষার প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়ার মহৎ প্রচেষ্টায় জমি দাতা প্রয়াত জনাব ফজলে হক মোল্লা মহাশয়, প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জনাব সুলতান আহমেদ মহাশয়ের যৌথ শুভ উদ্যোগে সাউথ সাঁকরাইল হাইস্কুলের যে পথ চলার কাজ শুরু হয়েছিল আজ সে ৯৪ বছর পূর্ণ করে ধীরে ধীরে শতবর্ষের পথে পা বাড়াতে চলেছে, একই সঙ্গে এটি সেকালের ছোট্ট পরিসরে টালির চালের একতলা স্কুল থেকে মহীরুহ সম একালের ত্রিতল ভবনে পরিণত হয়ে সাউথ সাঁকরাইল হাই স্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক) হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ব্লকে দক্ষিণ সাঁকরাইল পঞ্চায়েতে জনবহুল এলাকায় অবস্থিত অতি প্রাচীন বিদ্যালয় হিসেবে সুনামের সাথে পরিচিতি লাভ করেছে।
১৯৩০ সালের জন্ম লগ্ন থেকে আমাদের বিদ্যালয় গুটি গুটি পায়ে অতি ধীরগতিতে এগিয়ে চলেছে ১৯৬১ সালে বিদ্যালয়টি পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর পঠন-পাঠনের জন্য সরকারি অনুমোদন লাভ করে।
১৯৬৮ সালে এটি সরকার অধিগৃহীত ও পরিপোষিত সহ শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় ১৯৮৬ সালে বেশ কিছু শ্রদ্ধেয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির ও সংস্থার (হাওড়ার প্রাক্তন সাংসদ মাননীয় স্বদেশ চক্রবর্তী, সাঁকরাইল কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মাননীয় শ্রী শীতল সরদার, স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি জনাব মোহাম্মদ মল্লিক, স্থানীয় স্টার স্পোর্টিং ক্লাব পল্লীমঙ্গল সমাজ, অম্বুজা সিমেন্ট কোম্পানি, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মানিকপুর শাখার কর্তৃপক্ষ বৃন্দ, স্থানীয় ইটভাটার মালিক বৃন্দ প্রমূখ) অকৃপণ সহায়তায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অনুমোদন লাভ এবং পরবর্তীকালে ২০০৬ সালে বিদ্যালয়টি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনার জন্য কাউন্সিলের অনুমোদন লাভ করে। আরো পরবর্তীকালে চলতে চলতে সে কম্পিউটারের পথ পেরিয়ে অতি সম্প্রতি আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের জন্য অনুমতি লাভ করে। অভিভাবকগণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাপারে খুবই আগ্রহী এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। পারস্পরিক মত বিনিময়ের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্ক আরো মজবুত হয় ছাত্রদের পড়াশোনার ব্যাপারে দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করে তাই এ বিষয়ে আমরা অভিভাবক বৃন্দের কাছে আরো সচেতনতা প্রত্যাশা করি। বিদ্যালয়ের অবশ্য পালনীয় যে নির্দেশাবলী বুক লিস্টে দেওয়া আছে তা অক্ষর অক্ষরে পালন করতে হবে। ছাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা যেন স্বাধীনতার অপব্যবহার না করে শ্রেণিকক্ষে এমন কি বিদ্যালয় চত্বরে মোবাইল নিয়ে এসে অসভ্যতামি না করে, বিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশকে কলুষিত না করে, পড়াশোনার পরিবেশকে বিঘ্নিত করে এমন কোন গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ ভবিষ্যতে যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী করার চেষ্টা করে তাহলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কাল বিলম্ব করবে না। আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সুশৃংখল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষা লাভ করুক এবং একজন সু নাগরিক হিসেবে বিদ্যালয়ের মুখোজ্জ্বল করুক এটাই আমাদের একমাত্র প্রত্যাশা। কামনা করি এই বিদ্যালয়ের সর্বাঙ্গীন উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি। পরিশেষে তাই সব স্তরের মানুষের কাছে আমাদের বিনীত ও বিনম্র আবেদন আমাদের এই সুপ্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি যাতে আগামী দিনে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে, সেদিকে আপনারা সদা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতি তথা শিক্ষক- শিক্ষিকার দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এই শুভ প্রত্যাশা নিয়ে স্ব কলমে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেষ করছি। সকলে আগামী দিনে নীরোগ শরীরে ও সুস্থ মনে আমাদের মধ্যে সু দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করুন এই শুভকামনা রইল।
ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক
স্নেহাংশু বন্দ্যোপাধ্যায়
সাউথ সাঁকরাইল হাই স্কুল(উ: মা:)
হাওড়া, 711313
The vision of the School is to ensure that students are imparted with the most supreme quality of education, physical environment to grow and curriculum that enables them to be responsible citizens of the country. The School ascertains the universalization of education at Elementary level in schools as envisaged in The Right of Children to Free and Compulsory Education Act, 2009. The School has also emphasized on The Secondary and Higher Secondary level in the same manner. The School through its various functionaries works dedicatedly to ensure students are imparted with skills to face the various challenges successfully in their personal and social life.
সৃষ্টিশীল ও সুন্দর মানুষ তৈরীর প্রথম সোপান হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হাওড়া জেলার সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত এমনই এক স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাউথ সাঁকরাইল হাই স্কুল(উ: মা:)। ১৯৩০ সালে এই প্রতিষ্ঠানের দীপ জ্বালাতে জমিদান করেন মরহুম জানাব ফজলে হক মোল্লা মহাশয়, আর সেই জমিতে এই প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের বীজ বপন করেন মরহুম সুলতান আহমেদ মহাশয় ও মরহুম গোলাম রশুল মহাশয় | আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে ওনাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধার্ঘ্য। এলাকার বহু সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, অভিভাবক-অভিভাবিকা বৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, বিভিন্ন সময়ে আগত পরিচালন সমিতির সভাপতি ও সদস্য-সদস্যাবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, স্নেহের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকাগন ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টা, গঠনমূলক উন্নয়নের চেষ্টা, সুপরামর্শ, সক্রিয় সহযোগিতার মাধ্যমে বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজ এই বিদ্যালয় ৯৪ বছরে পদার্পণ করেছে। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের সাথে যুক্ত সকলকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজ কলম ধরার সুযোগ পেয়ে, ও এই বিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছি।
বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে তাতে সকলের সমবেত প্রচেষ্টা থাকলেও শ্রেণীকক্ষের অভাবে সুষ্ঠ পঠন-পাঠন ও শরীর চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। তবুও সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে উঠতে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ও শিক্ষাকর্মীবৃন্দ, বর্তমান পরিচালন সমিতি, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সদা সচেষ্ট। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীদের সু-স্বাদু খাবার পরিবেশন ও মাঝে মধ্যে মরশুমি ফল পরিবেশিত হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সুষ্ঠভাবে খাদ্য পরিবেশনের জন্য ছাদের উপর টিনের শেড নির্মাণ করা হয়েছে ও আরো একটি ছাদে শেড নির্মাণের কাজ চলছে। পরিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লাইব্রেরীকে নবরূপে সাজানোর কাজ চলছে। ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব Website তৈরি করা হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য। বিদ্যালয় ভবনকে সংস্কার করে নবরঙে সুসজ্জিত করার কাজ চলছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিদ্যালয়ে এই প্রথম দুটি বিষয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ চালু হয়েছে। বিদ্যালয়কে নজরদারির মধ্যে রাখতে CC-TV লাগানো হয়েছে। আগামী দিনে শৌচাগার গুলি কে নবরূপ প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং জলনিকাশী ব্যবস্থাকে সুচারু করতে হবে।
... Read More
সেখ লতিফুদ্দিন
সভাপতি
বিদ্যালয় পরিচালক সমিতি
সাউথ সাঁকরাইল হাই স্কুল(উ: মা:)
সভাপতি
সেখ লতিফুদ্দিন